আধঘন্টায় আমরা পুরো Big Budhha Temple ঘুরে রওনা দেই Chalong Temple দেখতে। সেখান থেকে Cashew nut factory এবং honey firm গেলাম এবং ফ্রী Cashew nut এবং honey টেস্ট করলাম। আমাদের পরবর্তী গন্তব্য Wangtalang gems international এ, এটি একটি বিশাল জুয়েলারি শপ যেখানে gold, diamond এবং বিভিন্ন দামি gems stone এর জুয়েলারি পাওয়া যায়। আমি ভাই ফকির মানুষ, চোখ দিয়ে দেখেই শান্তি। সেখান থেকে আমাদের শেষ গন্তব্য Phuket Old Town ঘুরে হোস্টেলে ফিরে আসি।
রাত ১১টায় আমার Phuket to bangkok এর ফ্লাইট, তাই আমার খুব তাড়া ছিল। দ্রুত হোস্টেল থেকে ব্যাগ নিয়ে airport এ যাওয়ার জন্য শেয়ারড গাড়ির খোঁজ করলাম, কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গেছে। শেষ গাড়ি রাত ৮টায় ছেড়ে গেছে। কি আর করার, একটি স্কুটার ৩৫০ বাথে ভাড়া করে এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। পাতং বীচ রোড থেকে এয়ারপোর্টৈর রাস্তা খুব সুন্দর। এক পাশে সমুদ্র রেখে আঁকাবাঁকা পথে এয়ারপোর্টের দিকে আমার স্কুটার এগিয়ে চলছে। পাক্কা ১ ঘন্টা পর এয়ারপোর্টে পৌঁছে হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। ১১ টা বাজার ১০ মিনিট আগেই বিমান ছাড়ে এবং ১২টায় DMK airport এ পৌছাই।
Khaosan Road এ যেই হোস্টেলে প্রথম দিন ছিলাম সেই হোস্টেলেই আমার বুকিং ছিল, কিন্তু এয়ারপোর্ট থেকে খাওসান রোডে যাওয়ার A4 বাস ততক্ষনে বন্ধ হয়ে গেছে। এয়ারপোর্টেই ডিনার সেরে ট্যাক্সিক্যাবে করে রওনা দিলাম হোস্টেলের দিকে, হোস্টেলের খুব কাছাকাছি এসে Google Map সঠিকভাবে কাজ করছিল না তাই টেক্সি ছেড়ে রাতের সুনসান নীরবতায় হোস্টেলের পথে হাটা দিলাম। রাত তখন আনুমানিক ২টা বাজবে, রাস্তায় লোকজনও তেমন নেই কিন্তু আমার ভয় এর পরিবর্তে ভালই লাগছিল। ২-৩ মিনিট হেঁটে হোস্টেলে চলে এলাম। খুব ক্লান্ত থাকার কারণে ফ্রেশ হয়েই সোজা বিছানায় গিয়েই ঘুম। এখানেই থাইল্যান্ডের ষষ্ঠ দিনের সমাপ্তি।