Phuket City, Thailand

ভ্রমণপিপাসুদের স্বর্গরাজ্য থাইল্যান্ডে ভ্রমণ (পর্ব: ৬)

৩০-১০-২০১৯
সকালে ঘুম থেকে উঠে হোস্টেলের রিসিপশনে এসে প্রতিবেশী দেশ ভারতের #Ravi দার সাথে দেখা, দাদার সাথে পরিচিত হয়ে শুনলাম উনি ফুকেট সিটি টুরে যাচ্ছেন ৬০০ বাথে, আমারও প্ল্যান ছিলো সিটি ট্যুর এ যাওয়ার, তাই দাদা যেই এজেন্ট থেকে টিকিট নিয়েছে আমিও একই এজেন্ট থেকে একটু দরকষাকষি করে ৫০০ বাথে ওই একই ট্যুরের টিকেট নেই। ১২.৩০ এ আমাদের টুর শুরু হওয়ার কথা তাই আগেই দুপুরের লাঞ্চ খেয়ে ১২.৩০ এর পূর্বেই রবিদার সাথে এজেন্টের দোকানে উপস্থিত হই।
অবশেষে Phuket view point দিয়ে আমাদের সিটি টুর শুরু হয়। পরবর্তীতে একে একে Baby elephant place এবং Karon view point ঘুরে আমরা চলে যাই টুরিস্টদের প্রধান আকর্ষণ Big Budhha Temple দেখতে। Big Budhha View Point থেকে পুরো ফুকেট শহর দেখা যায়।
Big Budhha Temple, Thailand

আধঘন্টায় আমরা পুরো Big Budhha Temple ঘুরে রওনা দেই Chalong Temple দেখতে। সেখান থেকে Cashew nut factory এবং honey firm গেলাম এবং ফ্রী Cashew nut এবং honey টেস্ট করলাম। আমাদের পরবর্তী গন্তব্য Wangtalang gems international এ, এটি একটি বিশাল জুয়েলারি শপ যেখানে gold, diamond এবং বিভিন্ন দামি gems stone এর জুয়েলারি পাওয়া যায়। আমি ভাই ফকির মানুষ, চোখ দিয়ে দেখেই শান্তি। সেখান থেকে আমাদের শেষ গন্তব্য Phuket Old Town ঘুরে হোস্টেলে ফিরে আসি। 

Baby Elephant Place, Thailand
Phuket Old Town, Thailand

রাত ১১টায় আমার Phuket to bangkok এর ফ্লাইট, তাই আমার খুব তাড়া ছিল। দ্রুত হোস্টেল থেকে ব্যাগ নিয়ে airport এ যাওয়ার জন্য শেয়ারড গাড়ির খোঁজ করলাম, কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গেছে। শেষ গাড়ি রাত ৮টায় ছেড়ে গেছে। কি আর করার, একটি স্কুটার ৩৫০ বাথে ভাড়া করে এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। পাতং বীচ রোড থেকে এয়ারপোর্টৈর রাস্তা খুব সুন্দর। এক পাশে সমুদ্র রেখে আঁকাবাঁকা পথে এয়ারপোর্টের দিকে আমার স্কুটার এগিয়ে চলছে। পাক্কা ১ ঘন্টা পর এয়ারপোর্টে পৌঁছে হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। ১১ টা বাজার ১০ মিনিট আগেই বিমান ছাড়ে এবং ১২টায় DMK airport এ পৌছাই।

Khaosan Road এ যেই হোস্টেলে প্রথম দিন ছিলাম সেই হোস্টেলেই আমার বুকিং ছিল, কিন্তু এয়ারপোর্ট থেকে খাওসান রোডে যাওয়ার A4 বাস ততক্ষনে বন্ধ হয়ে গেছে। এয়ারপোর্টেই ডিনার সেরে ট্যাক্সিক্যাবে করে রওনা দিলাম হোস্টেলের দিকে, হোস্টেলের খুব কাছাকাছি এসে Google Map সঠিকভাবে কাজ করছিল না তাই টেক্সি ছেড়ে রাতের সুনসান নীরবতায় হোস্টেলের পথে হাটা দিলাম। রাত তখন আনুমানিক ২টা বাজবে, রাস্তায় লোকজনও তেমন নেই কিন্তু আমার ভয় এর পরিবর্তে ভালই লাগছিল। ২-৩ মিনিট হেঁটে হোস্টেলে চলে এলাম। খুব ক্লান্ত থাকার কারণে ফ্রেশ হয়েই সোজা বিছানায় গিয়েই ঘুম। এখানেই থাইল্যান্ডের ষষ্ঠ দিনের সমাপ্তি।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *